ঢাকারবিবার , ৩১ আগস্ট ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কৃষি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. জাতীয়
  10. টপ৯
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. পজিটিভ বাংলাদেশ
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আগস্ট ৩১, ২০২৫ ৮:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক–কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, যোগ্যতার চেয়ে অর্থ লেনদেনই এখন নিয়োগের প্রধান শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৮ জুন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মাদ্রাসাটিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি ছিল টানা চতুর্থবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। প্রার্থীদের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২২ জুন ২০২৪।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, পূর্বে আবেদন করা বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁদের আবেদন বহাল রাখা হয়েছে। সাবেক সভাপতি ও সুধীজনেরা বিষয়টিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্রিয় হয়েছেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস। স্থানীয়দের দাবি, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ লেনদেনও সম্পন্ন হয়েছে। এতে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আগে সুপার নিয়োগ দিয়ে তারপর অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে মাত্র ৭০–৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। অথচ কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এনে প্রক্সি বসানো হয়।
স্থানীয় সুধীজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাতক্ষীরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ড মানেই এখন অর্থ বাণিজ্যের সুযোগ। তাঁরা জানান, সাবেক সভাপতিকেও এই নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করার জন্য ৩ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি রাজি না হওয়ায় শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় কৌশলে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুল ইসলাম ক্বারী বলেন, “মাদ্রাসার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে শিক্ষা অফিসারের রুমে বসে কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমান সুপার আব্দুল কুদ্দুস স্পষ্ট বলেছেন—দক্ষ প্রার্থী লাগবে না, টাকা হলে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। অভিভাবক ও সচেতন মহলও বলছেন, অবিলম্বে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।