ঢাকামঙ্গলবার , ৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কৃষি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. জাতীয়
  10. টপ৯
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. পজিটিভ বাংলাদেশ
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে মতবিনিময় সভা

জিয়াউল ইসলাম জিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি:
অক্টোবর ৭, ২০২৫ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরায় চিংড়ি সম্পদের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য অফিসার জিএম সেলিম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া, শ্রিম্প হ্যাচারী অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদ হাসান, চিংড়ি চাষী ও পোনা ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ ঘোষ, শ্যামনগর চিংড়ি চাষি সমিতির সহ-সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান, চিংড়ি চাষী মাসুদুর রহমান সাগর, মো. মফিজুর রহমান, মো. আলমগীর হোসেন, মো. জিল্লুর রহমান ও শেখ তৌহিদ হাসান প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় মৎস্য চাষিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মৎস্য চাষীদের দাবি মৎস্য ঘেরের বক্স কল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অপসারণ করলে ওই ঘের এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা ঐ এলাকায় আইলা ও সিডরের মত দুর্যোগ দেখা দেবে। জলবায়ুর প্রভাবের কারণে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সাতক্ষীরা জেলা অনেক ভিন্ন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ১৯৮৮ সালে মৎস্য ঘেরে পানি ওঠা নামানোর জন্য বক্স কল স্থাপনের নির্দেশনাসহ অনুমোদন পত্র প্রদান করা হয়েছিল। সেখান থেকে চিংড়ি ঘেরে নির্দেশনা মেনে পানি ওঠা নামানোর ব্যবস্থা চলে আসছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হঠাৎ পানি ওঠা নামার বক্স কল ভেঙে ফেলার পায়তারা করছে। পানি উঠানোর বক্স কল ভেঙ্গে ফেললে চিংড়ি শিল্পের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। চিংড়ি ঘের ধ্বংশ করলে চিংড়ি শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেক্ষেত্রে সাতক্ষীরার মৎস্য ও কৃষি ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে ঐ সব এলাকায় যেমন ধান ও হবে না এবং মাছও হবে না। সাদা সোনা খ্যাত সাতক্ষীরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে চিংড়ি চাষিরা। আর চিংড়ি চাষ ব্যাহত হলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাবে এবং অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ খেলাপী হয়ে পড়বে চিংড়ি চাষিরা। সেই সাথে চিংড়ি শিল্পের সাথে জড়িত অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। চুরি ডাকাতি বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এসময় চিংড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসক কয়েকদিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৎস্য কর্মকর্তা ও চিংড়ি চাসীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এ সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ও চিংড়ি চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।