ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের পর বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার (২৩ আগষ্ট ) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হাকিমপুর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তার নাম আরিফুজ্জামান। তিনি রংপুর মেট্রোপলিটনে কর্মরত ছিলেন বলে বিএসএফকে জানিয়েছেন আটক ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় তার কাছ থেকে কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে বিএসএফ।
আজ রবিবার (২৪ আগষ্ট) তাকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিএসএফের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সীমান্তের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বসিরহাট মহাকুমার স্বরুপনগর থানার সীমান্ত গ্রাম হাকিমপুর।
যার বিপরীতে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা ভাদিয়ালী সীমান্ত। বৃষ্টির মধ্যে কাটা তার বিহীন সোনাই নদী পার হয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টার মাঝে হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছে ঘোরাঘুরি করার সময়ে বাংলাদেশি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে বিএসএফ। পরে আটককৃত পুলিশ কর্তাকে স্বরূপনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। তবে,তিনি কেন ভারতে পলিয়েছেন, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের আটকের বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করেছে। এখানে বলা হয়েছে,পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান রংপুর মেট্রোপলিটনে কর্মরত ছিলেন। শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর এই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্তে পালিয়ে ছিলেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি কাটা তার বিহীন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে হাকিমপুর চৌকির বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করেন। এরপর তাকে স্বরুপনগর থানার পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে স্বরুপনগর থানার পুলিশ বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গরাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানিয়েছেন।