ঢাকাশুক্রবার , ১ আগস্ট ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কৃষি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. জাতীয়
  10. টপ৯
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. পজিটিভ বাংলাদেশ
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালীগঞ্জের বিষ্ণুপুর বাজারের সরকারি খাস জমি ইজারায় অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আগস্ট ১, ২০২৫ ৮:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বাজারের সরকারি খাস জমি একসনা ইজারায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর বাজারের পেরি, পেরি ভুক্ত সরকারি খাস জমি দীর্ঘদিন দখলে থাকা ব্যক্তিরা ইজারা নিতে গেলে এমনই অভিযোগ উঠে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সহ স্থানীয় তহশীলদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। দখলে থাকা ব্যক্তিরা একসনা ইজারার জন্য আবেদন করলে মোটা অংকের টাকার ঘুষ বাণিজ্য করতে শিক্ষক, চাকরিজীবী সহ একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে ইজারা দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে এমনই অভিযোগ বাজারের ব্যবসায়ীদের । তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এ প্রতিনিধিকে জানান দীর্ঘদিন বিষ্ণুপুর বাজারে অনিয়ন্তান্ত্রিক ভাবে সরকারি পেরি পেরি ভুক্ত খাস জমি ইজারা ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে। একই জমিতে একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে একসনা ইজারার আবেদন করেছে। বিষয়টি আমি তদন্ত করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেব। সোমবার(১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বিষ্ণুপুর বাজারে গেলে ব্যবসায়ী আনিস, মিয়ারাজ হোসেন, শাহিনুর, মনিরুজ্জামান, মনতাজ মোল্লা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান চাঁচাই গ্রামের মৃত সবেদ আলী মোল্লার পুত্র মন্তাজ মোল্লা দীর্ঘ ২৫/ ৩০ বছর ধরে পেরি ,পেরি ভুক্ত সরকারি খাস জায়গায় একটি দোকান নির্মাণ করে চাউল, কুড়া ও চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। উক্ত জমিটুকুর ইজারা আমার স্ত্রী রাফিজা খাতুন এবং পুত্র সাহেব আলীর নামে পাওয়ার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারি কমিশনারের (ভূমি) নিকট আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়পত্র কাটি ভূমি অফিসের তহশীলদার নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা ভূমি অফিসের খাস হাট, বাজারের ইজারার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ বাজারে এসে তদন্ত করে আমাদের নিকট থেকে ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্প, ছবি ,জাতীয় পরিচয় পত্র ,ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে। ওই সময় কতিপয় দালালদের জোগসাযোগে মোটা অংকের বাণিজ্যে জয়পাত্র কাটি গ্রামের মৃত শহর আলী সরদারের পুত্র নুরুজ্জামান সরদার এবং তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাহানারা খাতুনের নামে এক সনা আবেদন জমা দেয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে বিষ্ণুপুর বাজার জুড়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিনিধিকে বলেন এর আগেও সমীর মন্ডল নামক এক ব্যক্তির দখলে থাকা সরকারি পেরি, পেরি ভুক্ত খাস জমি মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রফেসর, শিক্ষক মিলে তিন ভাইয়ের নামে ইজারা দেয়। বিষ্ণুপুর বাজারের ইজারা নিয়ে আমি এসিল্যান্ডকে বলেছি যদি উনি নিজেকে না শুধরাই নেন তাহলে অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। স্থানীয় তহশীলদার নুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান এ বিষয়ে সব এসিল্যান্ড স্যার জানে আমি কিছু বলতে পারব না ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন। হাট বাজারের খাস জমি ইজারার দায়িত্ব প্রাপ্ত সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ এ প্রতিনিধিকে জানান আমি বাজারে দেখতে গিয়েছিলাম এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তদন্তপূর্বক আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিষ্ণুপুরবাসি।